প্রসঙ্গ: চামড়া নষ্ট করে দেওয়া
পশুর চামড়া হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত একটি নানাবিধ ব্যবহার্য শিল্প৷ এর ব্যবহার সব যুগেই ছিলো৷ মায়মূনা রা,এর একটি ছাগল মারা গিয়েছিল৷ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওই মৃত ছাগলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন৷ তখন তিনি বলছিলেন:
إذا دُبِغ الإهابُ فقد طهُر
চামড়া যখন প্রক্রিয়াজাত করা হয়, তখন তা পাক হয়ে যায়৷ (সহীহ মুসলিম)
একটি মৃত ছাগলের চামড়াও নষ্ট হোক, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা চান নি৷ আমরা হাজার হাজার চামড়া নদীতে কিংবা নর্দমায় ফেলে নষ্ট করে দিলাম৷ প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কে অনভিজ্ঞতার কারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে এবং প্রতিবাদস্বরূপ করলেও এমনটা উচিত হয় নি৷ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে চামড়ার খুব কদর ছিলো৷ অবশ্য সে সময় চামড়াজাত পণ্যের বিকল্প না থাকাও এর পেছনের বড় কারণ হবে৷ কিন্তু এটি একটি মূল্যবান জিনিস নিঃসন্দেহে৷ বর্তমান বাজারে এর মূল্য না থাকলেও মৌলিকভাবে ‘মালে মুতাকাওয়াম’৷
চামড়ার সাথে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা শত বছরের হলেও চামড়া দাবাগত করতে না জানা আমাদের ব্যর্থতা৷ আজ চামড়াগুলো নষ্ট না করে দাবাগত করে রাখলে পরবর্তীতে মাদরাসার ফ্লোরম্যাট হিসেবে ব্যবহার করা যেত৷ চাটাই ও জায়নামাজ হিসেবেও ব্যবহার করা যেত৷ অবশ্য পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় বিকল্প কিছু করার সুযোগও কম ছিলো৷ তাছাড়া সর্বসম্মতিক্রমে চামড়া খাওয়াও জায়েয এবং সুস্বাদু একটি খাবার৷